Breaking

প্রাইজবন্ডের ১২০তম ড্র: ৬ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন যাঁরা, দেখুন বিজয়ী নম্বরের পূর্ণাঙ্গ তালিকা


প্রাইজবন্ডের ১২০তম ড্র: ৬ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন যাঁরা, দেখুন বিজয়ী নম্বরের পূর্ণাঙ্গ তালিকা


ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১২০তম ড্র। এই ড্রয়ে ৬ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কারসহ মোট ৪৬টি নম্বর পুরস্কারের জন্য যোগ্য ঘোষিত হয়েছে। দেশজুড়ে লাখো বিনিয়োগকারীর জন্য এই ড্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যাঁরা নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন ।


 ড্র অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

অনুষ্ঠানের সময় ও স্থান: ৩১ জুলাই, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ড্রটি অনুষ্ঠিত হয়।

ড্র পদ্ধতি: "সিঙ্গেল কমন ড্র" পদ্ধতিতে এই ড্র পরিচালিত হয়, যেখানে প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নম্বর একই পুরস্কার পায়।

যোগ্য সিরিজ: প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৮২টি সিরিজের মধ্যে ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা এবারের ড্রয়ের আওতায় এসেছে। এগুলোর মধ্যে কক, কখ, কগ থেকে শুরু করে ঘক, ঘখ, ঘগ ও ঘঘ সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ।

আয়ত্কর প্রভাব: পুরস্কারের অর্থ থেকে আয়কর আইন ২০২৩-এর ১১৮ ধারা অনুযায়ী ২০% হারে উৎসে কর কর্তন করা হবে ।

বিক্রয় সময়সীমা: ড্র-এর নির্ধারিত তারিখের ৬০ দিন আগে পর্যন্ত বিক্রি হওয়া বন্ডগুলোই কেবল এই ড্রয়ের আওতাভুক্ত ।


 পুরস্কারবিভাজন ও বিজয়ী নম্বরসমূহ

🔹প্রথম পুরস্কার (৬,০০,০০০ টাকা):  

- বিজয়ী নম্বর: ০৫৪৪২২২ 


🔹দ্বিতীয় পুরস্কার (৩,২৫,০০০ টাকা):  

- বিজয়ী নম্বর: ০২৪১৭৬৮ 


🔹 তৃতীয় পুরস্কার (১,০০,০০০ টাকা প্রতি বিজয়ী):  

 বিজয়ী নম্বর: ০৯৬৪০৫২ ও ০৫৫৩৮৪৫ 


🔹চতুর্থ পুরস্কার (৫০,০০০ টাকা প্রতি বিজয়ী):  

- বিজয়ী নম্বর: ০১৯৭১৪২ ও ০০৫৪৩৮২


🔹পঞ্চম পুরস্কার (১০,০০০ টাকা প্রতি বিজয়ী, মোট ৪০ জন):

বিস্তারিত নম্বর তালিকা দেখুন


```

০০০৬৭৫৪, ০০৩১২৯৬, ০০৫৩৮১১, ০০৬৭৫৬৬, ০১০৪৩৩৪, ০১১১৩৭১, ০১৪৯৯৯২, ০১৬৪৬০৬, ০১৯৩৩৫৪, ০২২২০৯৫, ০২৫৪৯৪০, ০২৯৮২৬৬, ০৩২৩৩৬২, ০৩২৮১২২, ০৩৭৬৪২৩, ০৪০৩৬৩৫, ০৪১৯৬১৪, ০৫২৪৯৩৫, ০৫৪১৭৩৪, ০৫৮২৯৮৬, ০৬১৩৭০৪, ০৬২৯৬৩৮, ০৬৫৭৭৩৪, ০৬৫৭৯৯৪, ০৬৬৫৭৫৭, ০৬৭৪৫২৪, ০৬৮৯৪১৯, ০৭০২৬৯৬, ০৭০৮০৩৩, ০৭৩৫১০২, ০৭৫১১৬৫, ০৭৫৫৭২৪, ০৭৭২৫৮০, ০৮২৪৯৮৮, ০৮৪১৫০৩, ০৮৪৮১৩৭, ০৮৭০২২২

সূত্র: 

 প্রাইজবন্ড সিস্টেম: কীভাবে কাজ করে?

প্রাইজবন্ডের "সিঙ্গেল কমন ড্র" পদ্ধতিতে প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নম্বর একই পুরস্কার পায়। উদাহরণস্বরূপ, প্রথম পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নম্বরটি (০৫৪৪২২২) উল্লিখিত প্রতিটি সিরিজে (কক, কখ, কগ ইত্যাদি) প্রথম পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। অনুরূপভাবে অন্যান্য পুরস্কারের নম্বরগুলোও প্রতিটি সিরিজে প্রযোজ্য । এ কারণে একটি নম্বর জিতলে একই নম্বরের সকল সিরিজের বন্ডও একই পুরস্কার পায়।


বিজয়ী প্রাইজবন্ডধারীরা বাংলাদেশ ব্যাংক বা অনুমোদিত ব্যাংক শাখা থেকে পুরস্কারের টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে উল্লেখ্য, পুরস্কারের টাকা থেকে ২০% আয়কর কর্তন করা হবে। এছাড়া পুরস্কার ঘোষণার দুই বছরের মধ্যে দাবি না করলে তা তামাদি হয়ে যেতে পারে ।


জনমনে প্রাইজবন্ড: একটি আবেগের নাম

প্রাইজবন্ড কেবল একটি আর্থিক বিনিয়োগই নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে লাখো পরিবারের স্বপ্ন ও আবেগ। যেমন ফেসবুক ব্যবহারকারী সুফিয়া রাহমানের ভাষায়: "আমার আব্বা আগে অনেক টাকা প্রাইজবন্ড কিনতো। আমরা দুবোন মিলে কতো খুশি মন নিয়ে দেখতে বসতাম। কিন্তু কোন দিন আমাদের টা উঠতো না"* । প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই বন্ড শুধু আর্থিক নিরাপত্তাই দেয় না, পারিবারিক বন্ধনও দৃঢ় করে।


প্রাইজবন্ড ড্র সাধারণত বছরে চার বার (৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত তারিখে সরকারি ছুটি থাকলে পরবর্তী কার্যদিবসে ড্র অনুষ্ঠিত হয় । আগ্রহীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম থেকে পরবর্তী ড্রয়ের তথ্য পেতে পারেন।


প্রাইজবন্ড বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঞ্চয় ও বিনিয়োগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম, যেখানে স্বল্প বিনিয়োগে বড় অঙ্কের পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ থাকে। ১২০তম ড্রয়ে যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁরা যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পুরস্কার দাবি করেন। আর যাঁদের ভাগ্য এবার সহায় না করলেও, প্রাইজবন্ড সঞ্চয়ের একটি ভালো উপায় হিসেবেই রয়ে গেছে। আগামী ড্রয়ে সবার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হোক!


তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ, জাগো নিউজ, দৈনিক শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিবেদন *

#